মানুষ কিছু বছর আগেও টাকা লেনদেন করার জন্য ফিজিক্যাল কারেন্সির উপর নির্ভরশীল ছিল। যেমন: এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠানোর জন্য মানুষ ব্যবহার করত পোস্ট অফিস কিংবা অন্যান্য ট্রান্সপোর্টেশন মাধ্যম।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আজ মানুষ টাকা পাঠানোর জন্য নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মত মাধ্যম গুলোর উপর। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দ্বারা পুরোটাই পাল্টে গিয়েছে।
আজ কথা বলব দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান “নগদ” কে নিয়ে। সরাসরি বললে, আজকে আমরা “নগদ” অ্যাপসটির সমস্ত বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া থাকবে নগদ সম্পর্কে টুকিটাকি কিছু ইনফর্মেশন। তাহলে চলুন, মূল আর্টিকেলটি শুরু করা যাক!
নগদ কি?/ What is nagad?
নগদ বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তৈরি করা মোবাইল ফোন ভিত্তিক দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি আজ থেকে তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের 11 তারিখ সর্বপ্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। নগদ থ্রার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত। এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পূর্বে চালুকৃত Postal Cash Card এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (EMTS)-এর নতুন সংস্করণ।
যেভাবে ব্যবহার করবেন নগদ অ্যাপস:
প্রথমে প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন নগদ অ্যাপসটি এবং অ্যাপস এ চাওয়া সকল পারমিশন এলাও করুন। এরপর নিচের নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করুন:
যেভাবে খুলবেন নগদ একাউন্ট:
১) প্রথমে অ্যাপসটি ওপেন করে এনআইডি কার্ড সহ সকল নেসেসারি ইনফরমেশন যোগ করুন।
২) সেলফি তুলুন এবং একটি ডিজিটাল সিগনেচার প্রধান করুন।
৩) সর্বশেষ চার ডিজিটের পিন নির্বাচন করুন।
নগদ অ্যাপসের সুবিধা সমূহ বা বৈশিষ্ট্য:
• এক ক্লিকে nagad balance check করার সুবিধা।
• অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের চেয়ে nagad cash out charge অনেক কম।
• বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করার সুবিধা।
• একসাথে দুইটি ভাষা তথা বাংলা এবং ইংলিশ ব্যবহার করার সুবিধা।
• পছন্দের বেশ কয়েকটি নাম্বারে সেন্ড মানি একদম ফ্রি।
• QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমে ক্যাশ আউট, উদ্যোক্তা পয়েন্ট এবং পেমেন্ট করার সুবিধা।
• প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করার সুবিধা।
• স্টেটমেন্ট এবং টাকা আদান-প্রদানের পর নোটিফিকেশন পাবার সুবিধা।
• বিভিন্ন ইভেন্টে নগদ থেকে পেমেন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ডিসকাউন্ট পাবার সুবিধা।
• ভিসা এবং মাস্টার কার্ড থেকে নগদে টাকা ট্রান্সফার এবং নগদ থেকে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের টাকা ট্রান্সফার করার সুবিধা। এছাড়াও এরকম রয়েছে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা।
নগদ অ্যাপস এর ডিজাইন এবং ইউজার ইন্টারফেস:
একটি গভারমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ হিসেবে এটি যথেষ্ট পরিমাণ নিট এন্ড ক্লিন এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি। এ কথা বলার মূল কারণ হচ্ছে: আপনারা যারা ইতিমধ্যে গভারমেন্ট ভিত্তিক ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করেছেন।
তারা হয়তো মোটামুটি আঁচ করতে পেরেছেন যে, তাদের ডিজাইন এবং ইউজার ইন্টারফেস কতটা নাজুক। সেই বিবেচনায় নগদ অ্যাপসটি ভালো পজিশনে বর্তমানে রয়েছে। অ্যাপসটির কালার কম্বিনেশন, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এক কথায় অসাধারণ।
নগদ অ্যাপস এর রেটিং এবং রিভিউ:
প্লে স্টোর
রেটিং: 4.4/5
রিভিউ: 229K+
ডাউনলোড সংখ্যা: 10M+
অ্যাপ স্টোর
রেটিং: 3.3/5
রিভিউ: 800+
ডাউনলোড সংখ্যা: NOT FOUND
যেভাবে ডাউনলোড করবেন নগদ অ্যাপস:
প্লে স্টোর (অ্যান্ড্রয়েড)
অ্যাপ স্টোর (আইওএস)
শেষ কথা:
দেশের বাজারে রয়েছে এখন বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং। তাদের মধ্যে নগদ অন্যতম। নগদের টাকা আদান-প্রদান করার জন্য রয়েছে (P2P) প্রোগ্রামিং সিস্টেম। এতে করে টাকা হারানোর চান্স নাই বললেই চলে।
একই সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টাকা আদান-প্রদান হয়। এছাড়াও nagad cash out charge অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর থেকে অনেকটা কম। তাই আপনি যদি ইতিমধ্যে ভিন্ন কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে থাকেন। তাহলে আজই চলে আসুন নগদে। কারণ, দেশি নগদে বেশি লাভ। ধন্যবাদ
নিচে দেওয়া হল নগদ সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন:
নগদ কাস্টমার কেয়ার মোবাইল নাম্বার/ nagad helpline number bd:
16167 or 096 096 16167.
নগদ ক্যাশআউট চার্জ/ nagad cash out charge:
প্রতি হাজারে ৯.৯৯৳।
যেভাবে চেক করবেন নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স/nagad balance check:
*167# Or Open The Nagad App And Tap The Balance Button.
বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার:
• বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন এবং সেন্ড মানি অপশনে ক্লিক করুন।
• নির্ধারিত স্থানে যাকে টাকা পাঠাবেন তার নগদ অ্যাকাউন্ট এর নাম্বার দিন
• রেফারেন্স নম্বর দিন।
• পরিমাণ পরিশোধ করুন।
• আপনার বিকাশ পিন নম্বর দিন।
• সর্বশেষ সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন।